মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার আরফান উল্লাহ ওরফে দামালকে রিমান্ডে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শুক্রবার রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে বুধবার রাতে রাজধানীর কমলাপুরের কালভার্ট রোড এলাকা থেকে একটি পাকিস্তানি রিভলবার ও দুটি গুলিসহ দামালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবির দাবি, টিপুকে হত্যার দুই মাস আগে কমলাপুরের রুপালি যুব উন্নয়ন সংঘ ক্লাবে হত্যার পরিকল্পনার যে বৈঠক বসেছিলো সেখানেও উপস্থিত ছিলো দামাল।
ডিবির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত মোহাম্মদ শামীম বলেন, টিপু হত্যার আগে দামালসহ কয়েকজন কমলাপুরের একটি ক্লাবে বৈঠক করেছিলো। ইতিমধ্যে ওই বৈঠকে অংশ নেয়া মারুফ ও শামীম নামে দুজনকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। বাকিদেরও নাম পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
ডিসি বলেন, দামালকে স্থানীয় যুবলীগ নেতা হিসেবেই সবাই চেনে। তার বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় রিমান্ডে আনা হয়েছে। রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দামাল স্বীকার করেছেন, এ হত্যাকান্ডে যাদেরই নাম এসেছে, সবার সঙ্গেই তার ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে।
ডিবি কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র এবং মোটরসাইকেল এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। রিমান্ডে থাকা মূল শ্যূটার আকাশের দেয়া তথ্যানুসারে সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি দামালের কাছে পাওয়া অস্ত্রটি হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হয়েছে কিনা সেটিও যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। কেননা, ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত গুলির খোসা অনুযায়ী হত্যার সময় দুইটি অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ব্যাকআপ পার্টি হিসেবে কেউ ছিল কিনা, থাকলে তারা কারা এসবই তদন্ত চলছে।